যে কারণে রোজা ভাঙে না


 

যে কারণে রোজা ভাঙে না

সারা বিশ্বে এরই মধ্যে চলছে রমজান মাস। রমজান মুসলমানদের জন্য অতিরিক্ত পুরস্কারের সময়। এ মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি। রমজানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সৃষ্টিকর্তার ইবাদতে ব্যস্ত থাকেন। এ মাস সম্পর্কে নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন: “তিন জনের নামাজ কখনোই ফেরত হয় না। রোজাদার যখন ইফতার করে, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক ও অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া' (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি)



সম্ভাব্য সকল মুসলমান রমজানে রোজা রাখে। এ সময় কিছু কাজ ভুলবশত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়ে যায় তাই মনে হয় রোজা ভেঙ্গে গেছে। অথবা যে কাজগুলো আমাদের কাছে রোজা ভঙ্গের কারণ বলে মনে হয়। কিন্তু সেসব কাজের জন্য রোযার কোন ক্ষতি নেই।


আসুন এখন জেনে নিই এমন কাজগুলো যা রোজা ভঙ্গের আসল কারণ নয়।


১. অনিচ্ছাকৃত বা ভুল করে গলার ভেতরে ধুলাবালি, মশা-মাছি অথবা ধোঁয়া প্রবেশ করা।


২. অনিচ্ছাকৃত বমি অথবা ইচ্ছাকৃত অল্প বমি করা। তবে মুখ ভর্তি নয়।


৩. বমি আসার পর আপনা-আপনি (নিজে নিজে) ফিরে যাওয়া।


৪. অনিচ্ছাকৃতভাবে কানের ভেতর পানি প্রবেশ করা।


৫. ইনজেকশন নেওয়া।


৬. ভুলক্রমে পানাহার বা ভুল করে কিছু খেয়ে ফেলা।


৭. চোখে ওষুধ নেওয়া বা সুরমা ব্যবহার করা।


৮. কোনো কিছুর ঘ্রাণ নেওয়া কিংবা সুগন্ধি ব্যবহার করা।


৯. নিজ মুখের থুথু, কফ ইত্যাদি গলাধঃকরণ করা।


১০.শরীর ও মাথায় তেল ব্যবহার করা।


১১. হুক্কা, সিগারেট, চুরুট ইত্যাদি পান করলেও রোজা ভেঙে যায়; যদিও নিজে ধারণা করে যে, কণ্ঠনালী পর্যন্ত ধোঁয়া পৌঁছেনি।


১২. ঠান্ডার জন্য গোসল করা।


১৩. মিসওয়াক করা। তবে মিসওয়াক করার ফলে দাঁত থেকে বের হওয়া রক্ত যেন গলার ভেতর না যায়।


১৪. নাকের ছিদ্র দিয়ে ঔষধ প্রবেশ করালে রোজা ভেঙে যাবে।


১৫. চোখের পানি মুখের ভিতর চলে গেলে আর সেটা গিলে ফেললে। যদি দুয়েক ফোঁটা হয় তবে রোজা ভাঙবে না। আর যদি বেশি হয়, যার ফলে সেটার লবণাক্ততা মুখে অনুভূত হয়। তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। ঘামের ক্ষেত্রেও একই বিধান।


১৬. রক্তদান করলে রোজার ক্ষতি নেই; তবে গ্রহণ করলে রোজা ভেঙে যাবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন