ডিমের খোসা ফেলে দাও? এর মধ্যে লুকিয়ে থাকা গুণগুলো দেখে নিন।
ডিমের খোসার উপকারিতাঃ
ডিম প্রায় সবারই প্রিয় খাবার। খুব কম লোকই আছে যারা এটা পছন্দ করে না। ডিম খাওয়ার পর অনেকেই ডিমের খোসা ফেলে দেন। কিন্তু জানলে অবাক হবেন। ডিমের খোসার কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।
ডিমের খোসা খুবই কার্যকরী একটি জিনিস। বিউটি ট্রিটমেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন গৃহস্থালী কাজে ডিমের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে।
কফির তিক্ত স্বাদ কাটতে চাইলে ডিমের খোসার গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন।
একটি কুমড়ার খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং ডিমের সাদা অংশের সাথে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার এই মিশ্রণ ত্বকে লাগান। এক মাসের মধ্যেই পেয়ে যাবেন উজ্জ্বল ত্বকের উপহার।
বাগান থাকলে এই ডিমের খোসা কাজে আসবে। বাগানে পোকার উপদ্রব বেড়ে গেলে গাছের গোড়ায় ডিমের খোসার গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। পোকামাকড় আসবে না। এছাড়াও, ডিমের খোসায় ক্যালসিয়াম রয়েছে যা গাছের স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে।
রান্নার সময় প্যানটি পুড়ে যেতে পারে, তবে আপনি ডিমের খোসা ব্যবহার করে এটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারেন। থালা-বাসনে তেলের দাগ ও পোড়া সহজেই চলে যাবে।
ব্যথা উপশমের জন্যও ডিমের খোসা ব্যবহার করা হয়। ডিমের খোসা ভিনেগারের সাথে মিশিয়ে নিন। কিছুদিন পর দেখবেন ডিমের খোসা ভিনেগারের সাথে সম্পূর্ণ মিশে গেছে। কোথাও ব্যথা হলে সেখানে মিশ্রণটি লাগিয়ে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। ব্যথা কমে যাবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন